কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী বিজেপির ইশতেহারকে ‘এক বিচ্ছিন্ন মানুষের কণ্ঠস্বর’ বলে অভিহিত করেছেন ।
তিনি বলেন, বিজেপির ইশতেহার ক্ষীণ দৃষ্টিভঙ্গি, অহংকারী এবং বিচ্ছিন্ন এক মানুষের কণ্ঠস্বর।
মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় এমন মন্তব্য করেন রাহুল। খবর এনডিটিভির।
লোকসভা নির্বাচনের দুইদিন আগে সোমবার দিল্লিতে অবস্থিত বিজেপির সদর দফতরে নির্বাচনী ইশতেহার ‘সংকল্প পত্র’ প্রকাশ করে বিজেপি। সেসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংসহ শীর্ষ নেতারা।
৪৫ পাতার ইশতেহারে ‘নতুন ভারত’-এর জন্য ৭৫টি অঙ্গীকার নেওয়া হয়েছে।
মোদি ইশতেহার অনুষ্ঠানে বিরোধীদের কটাক্ষ করে বলেন, যারা এসি রুমে বসে দিন কাটান তাদের পক্ষে ভারতের দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব না।
এর জবাবে রাহুল তার টুইট বার্তায় বলেছেন, কংগ্রেসের ইশতেহার জনগণের মতামত নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এই ইশতেহার ভারতীয় কোটি মানুষের কণ্ঠস্বর। অন্যদিকে বিজেপির ইশতেহার বন্ধ রুমে বসে তৈরি করা হয়েছে।
বিজিপি তাদের ইশতেহারকে ‘সংকল্প পত্র’ বলছে। ইশতেহারে ২০২০ সালের মধ্যে সবাইকে গৃহের নিশ্চয়তা দিয়েছে গেরুয়া শিবির। আগামী বছরের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দলটি।
সেইসঙ্গে কৃষক, তরুণ ও নারীদের কথা মাথায় রেখে ইশতেহার প্রকাশ করেছে দলটি।
দেশের নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলির ওপরেও ইশতেহারে জোর দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে গত ২ এপ্রিল কংগ্রেস ইশতেহারে তাদের ‘ন্যায়’ প্রকল্পের কথা জোর দিয়ে প্রকাশ করেছে। দলটির ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, ন্যূনতম আয় যোজনা বা ‘ন্যায়’ বাস্তবায়ন করে দরিদ্রদের ব্যাংক খাতায় বছরে ৭২ হাজার কোটি রুপি জমা করা হবে। ২২ লাখ সরকারি শূন্য পদে চাকরি দেওয়া হবে। গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোয় খালি রয়েছে ১০ লাখের বেশি পদ। সেখানে লোক নিয়োগ করা হবে। দরিদ্রদের কর্মসংস্থানের জন্য ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পকে ১৫০ দিন করা হবে।
প্রসঙ্গত, এবার সাত ধাপে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে। প্রথম দফায় আগামী ১১ এপ্রিল ২০টি রাজ্যের ৯১ আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে। ১৮ এপ্রিল দ্বিতীয় ধাপে ১৩ রাজ্যের ৯৭ আসনে, ২৩ এপ্রিল তৃতীয় ধাপে ১৪ রাজ্যের ১১৫ আসনে, ২৯ এপ্রিল চতুর্থ ধাপে ৯টি রাজ্যের ৭১ আসনে, ৬ মে পঞ্চম ধাপে ৭ রাজ্যের ৫১ আসনে, ১২ মে ষষ্ঠ ধাপে ৭ রাজ্যের ৫৯ আসনে এবং ১৯ মে সর্বশেষ ধাপে ভোট হবে ৮ রাজ্যের ৫৯ আসনে।
সাত ধাপে ভোটগ্রহণের পর ২৩ মে ভোট গণনা করে ফল প্রকাশ করা হবে।